সংস্কার কাজের জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
ঘটে প্রাণহানিসহ একাধিক দুর্ঘটনা। সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হলে এ দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন সেতু ব্যবহারকারীরা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, সেতুটি যান চলাচলের জন্য উপযোগী। রোববার থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ৯০ বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুটি বুয়েট বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৪ মাস সংস্কার কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রকচার লিমিটেড। সংস্কার কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। সেতুতে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর সেখানে পানি জমবে না। সেতু নির্মাণের ৯৩ বছর পর রেল ও যানবাহন চলাচলের সঙ্গে এখন পথচারীরা পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
সহ-সম্পাদক :
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : বাবু প্রমেশ বড়ুয়া (USA)
আইন উপদেষ্টা : এডভোকেট মোহাম্মাদ শাহজাহান
© 2024 PSP Vision. All Rights Reserved.