শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
HomeNewsসাবেক এমপি ফজলে করিমের বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
spot_img

সাবেক এমপি ফজলে করিমের বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক

রাউজান উপজেলায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে গহিরায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়ির আলমারি থেকে এ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বৈধ অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সেটিও অবৈধ হয়ে যায়।

অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রাউজান থানায় মামলা হয়েছে।
অন্য দিকে নগরের খুলশী এলাকায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর একটি ফ্ল্যাটেও অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি জানিয়েছেন পুলিশ।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়ির আলমারিতে থাকা একটি পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেল, একটি এলজি, একটি রিভলবার, একটি শটগান ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে শুধু রাইফেলের লাইসেন্স ছিল। বাকি অস্ত্র অবৈধ।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটির ইবাদতখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের দুই মামলা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের ঘটনায় পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানার দুই মামলা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসম্পাদক নুরুল আলম হত্যার ঘটনায় চকবাজার থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ফজলে করিমকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ডিম ছুড়ে মারেন। এ সময় তার ফাঁসির দাবিতে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। বর্তমানে রাউজান থানার এক মামলায় ফজলে করিমকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্য পদ হারান ফজলে করিম চৌধুরী। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে একটি হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার বাবা একেএম ফজলুল কবির চৌধুরী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।

spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

আরও সংবাদ

spot_img