সদ্য গঠিত নির্বাচক কমিটির সুপারিশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়ছেন বাবর আজম। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
সাদা পোশাকে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাবরের। টানা ১৮ ইনিংস ধরে ফিফটির দেখা পাননি পাকিস্তানের এই ব্যাটার। ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৯ টেস্ট খেলে তার ব্যাটিং গড় ২১ এর নিচে।
এতোকিছুর পরও দলের সেরা ব্যাটারের কথা বললে সবার আগেই উঠে আসে বাবরের নাম। এমনকি অধিনায়কত্ব হারানোর পর দলে তার জায়গা নিয়ে কখনো সংশয় ছিল না। অধিনায়ক ও কোচ সবসময় পাশে থেকেছেন তার।
তবে নতুন নির্বাচক কমিটি এসেই বেশ সাহসী সিদ্ধান্ত পথেই হাঁটল। দলের বাইরে থাকাটা বরং বাবরের জন্যই ভালো হবে বলে মনে করছে কমিটি। নতুন এই কমিটিতে আছেন আকিব জাভেদ, আসাদ শফিক, আজহার আলী, হাসান চীমা, সাবেক আম্পায়ার আলিম দার ও আম্পায়ার-কোচ।
গত শুক্রবার নির্বাচক কমিটির বৈঠকে ছিলেন না পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ ও হেড কোচ জেসন গিলেস্পি। গতকাল তাদের সঙ্গে দেখা করতে মুলতানে যান নির্বাচকরা। কয়েকজন উপদেষ্টা অবশ্য বাবরকে দলে রাখার পক্ষে ছিলেন, কিন্তু বেশিরভাগই ছিলেন তাকে বাদ দেওয়ার পক্ষে।
কদিন আগেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বাবর। এরপর টেস্টেও নিজের চেনা রূপে ফিরতে পারছেন না। মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ফ্ল্যাট উইকেটেও দুই ইনিংস মিলিয়ে কেবল ৩৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেই ম্যাচ পাকিস্তান হারে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। বাবর ছাড়াও পাকিস্তান একাদশে আরও পরিবর্তন দেখা যাবে। অসুস্থতার কারণে এই টেস্ট খেলতে পারবেন না আবরার আহমেদ। তার জায়গায় আসতে পারেন নোমান আলী কিংবা সাজিদ খান। এছাড়া বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়তে পারেন শাহিন শাহ আফ্রিদিও। হাঁটুর ইনজুরি থেকে ফেরার পর তার বোলিংয়ে সেই আগের ধাঁচ নেই। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেও বাদ পড়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।