
তেল আবিব: গাজায় হামাসের হাতে ৫৫ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেও নিজের দেশে ফিরে বড় ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম। তিনি অভিযোগ করেছেন, তেল আবিবে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে এক সুপরিচিত ফিটনেস প্রশিক্ষকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
হিব্রু দৈনিক Maariv ও Middle East Monitor-এর বরাতে জানা যায়, মিয়া শেম জানিয়েছেন, বন্দিদশায় তিনি ধর্ষণের ভয় পেতেন, কিন্তু সেখানেই তিনি নিরাপদ ছিলেন। অথচ নিজ দেশে, নিজের বাসাতেই তাঁর সঙ্গে ঘটে এ নৃশংসতা।
মিয়া জানান, ওই ফিটনেস প্রশিক্ষক তাকে নিজের জীবনী নিয়ে সিনেমা বানানোর প্রস্তাব দেন এবং এজন্য হলিউডের এক প্রযোজককে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে আনার কথা বলেন। পরে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর ওই ব্যক্তি আসেন এবং সেখান থেকেই মিয়ার স্মৃতি ঝাপসা হয়ে যায়। তিনি বলেন, “আমার শরীর মনে রেখেছে, কিন্তু মাথা কিছুই মনে করতে পারছিল না। বুঝতে আমার তিন দিন লেগেছে আসলে আমার সঙ্গে কী ঘটেছে।”
তাঁর ভাষ্যমতে, তিনি ঘরে প্রশিক্ষককে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান এবং ঘরে আরও একজন পুরুষের উপস্থিতি টের পান। মিয়া সন্দেহ করছেন, তাকে মাদক দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পরপরই তিনি অভিযোগ করেন এবং মার্চের শেষ দিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি পুলিশ।
মিয়া শেম বলেন, “সত্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমি আর লুকিয়ে থাকতে চাই না। সারা জীবন ধর্ষণের ভয় ছিল, কিন্তু সেটি ঘটলো এমন এক জায়গায় যেখানে আমি সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা ছিল।”
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় মিয়া শেম গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে তাকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ছিলেন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া প্রাথমিক পর্যায়ের একজন।