আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিমুক্ত শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থাপনা আর অর্থ আত্মসাতের যে ধারা চলছে তাতে সেবা নয়, জনসাধারণ পাচ্ছে উল্টো যন্ত্রণা। দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া শিশু হাসপাতালকে বাঁচাতে হলে আজীবন সদস্যসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে জাহির করে এতদিন ধরে হাসপাতালকে লুটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আজীবন সদস্য মোঃ জাহেদুল হাছান।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সচেতন আজীবন সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিচার্স ইনস্টিটিউট পরিচালনায় অনিয়ম দুর্নীতি, জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি, আজীবন সদস্যদের অজান্তে ২৫ কোটি টাকার ব্যাংক লোনের বোঝা, অ্যাম্বুলেন্স সেবায় গাফিলতি, অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিজেদের লোকদের নিয়োগ, রাউজানে অটিজম সেন্টার প্রবীণ নিবাস স্থাপন, কমিটির নেতাদের ঠিকাদারী ব্যবসা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সেবা বঞ্চিত রেখে এ হাসপাতাল পরিচালনা করে একপ্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদ। শুধু তা নয়, হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা বর্তমানে হাসপাতালকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। খালেদা জিয়া জমি দিয়ে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেও কোথাও তার নামফলক পর্যন্ত রাখেনি আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করা এসব দায়িত্বশীলরা। আওয়ামী লীগের মতো তাদেরকেও তাড়িয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।
হাসপাতালের আজীবন সদস্য হাজী হোসেন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও ফজলুল করিম মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আজীবন সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ আবুল হোসেন, ফজলুর রহমান স্বপন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সর্দার, মোহাম্মদ মুছা, মোহাম্মদ আবদুস সবুর, মোঃ ফরিদ, মোঃ জহির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান কনক, হানিফ সওদাগর, সাইফুল ইসলাম, মোঃ নাছির, জাহেদ কায়সার, নুরুল আবছার, ওয়াহিদ পারভেজ, শফিউল আলম প্রমূখ।