দেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে ‘বিজয় মেলা’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৯ ডিসেম্বর স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মেলা বসার সিদ্ধান্ত হয় চট্টগ্রাম কাজীর দিউড়ি (আউটার স্টেডিয়ামে)। পরবর্তীতে আবার চট্টগ্রামের ক্রিড়ামোদি খেলোয়াড় এবং শিশু-কিশোদের অনুশীলনের বিষয়টি বিবেচনা করে নগরীর কাজীর দেউড়ি মাঠ (আউটার স্টেডিয়াম) অনুষ্ঠিতব্য বিজয় মেলার ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
বিজয় মেলার ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সভা। আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ৬ দিনব্যাপী বিজয় মেলা আয়োজনের কথা ছিল চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে তবে এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবারের বিজয় মেলা কাজীর দেউড়ি সার্কিট হাউজ সংলগ্ন শিশু পার্কের উচ্ছেদকৃত স্থানে অনুষ্ঠিত হবে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক।
সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন,১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামের মাটি থেকে শুরু হয় বিজয় মেলা। নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে মেলার আয়োজন করা হয়।তখন থেকে বিজয় মেলার সাথে আমার একটি সম্পর্ক রয়েছে। বিজয় মেলা হবে এটা হবে চট্টগ্রামের মেলা। তবে বিজয় মেলাকে নিয়ে কোন বাণিজ্য করা যাবে না। এইবারের বিজয় মেলায় বেশ কিছুর পরিবর্তন হবে। বিজয় মেলায় দেশীয় পণ্য ছাড়া কোন বিদেশী পণ্য থাকবে না।মেলায় চারু-কারুশিল্পের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে দেশে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে। আরও থাকছে শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেখানে তুলে ধরা হবে চট্টগ্রামে ব্যবসা বাণিজ্যের কথা। জুলাই যে গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে তা নিয়ে চিহ্ন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে মেলায়।
এ-সময় রুপালি বাংলাদেশ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান জালাল উদ্দীন সাগর প্রশ্ন তুলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে মেলায় নিরাপত্তার বিষয়ে। প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন মেলাতে সেনাবাহিনী সহ সর্বস্তরের নিরাপত্তা থাকবে।সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হল এটি হবে চট্টগ্রামের মেলা। চট্টগ্রামে যদি বিজয় মেলা না হয় তাহলে এটি চট্টগ্রামের দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা।
এইসময় ফারুক ই আজম আর-ও বলেন, মেলায় স্টোর গুলো লটারি পদ্ধতিতে দেওয়া হবে।এখানে বাণিজ্য করার কোন সুযোগ থাকবে না।এই বিজয় মেলা নিয়ে কোন বাণিজ্য মেলা তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে মেলা কমিটি। চট্টগ্রামের স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেবেন মেলায়।বিজয় মেলা নিয়ে কোন পক্ষবাধিত করার সুযোগ নেই।
সভায় উপস্থিত ছিলেন,মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম,চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম,বিজয় মেলা পরিষদ,সাংস্কৃতিক ও মেলার আয়োজক কমিটি,সাংবাদিক ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ববৃন্দ।