নগরীর শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ) এলাকার বশিরুজ্জামান চত্বর থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত ১৭ নম্বর সড়কে চলাচলরত অটোটেম্পু থেকে ছাত্র, বিএনপি, পুলিশের নামে নতুন করে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।কথিত শ্রমিক লীগ নেতা জাহেদ প্রকাশ টেম্পো জাহিদ ও কথিত শ্রমিক লীগ নেতা আলী ইমাম বিএনপির নেতা পরিচয়ে অটোটেম্পু স্টেশন দখল করে বসে। দখলে নেওয়ার পর ছাত্র,বিএনপি ও প্রসাশনের নাম দিয়ে মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ তুলছেন এই রুটের গাড়ি চালকেরা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব চাঁদাবাজ।
চট্টগ্রাম অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম চাঁদা আদায় করে অভিযোগ তুলেন চালকেরা।
চালকরা জানান, আমাদের সংগঠনের সভাপতি মো. জাহেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম দুজনেই যাত্রী নির্যাতন, ভাড়া নৈরাজ্যকারী ও পেশাদার চাঁদাবাজ পূর্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিল এখন তারা বিএনপি নামধারী।
তারা শ্রমিকদের কল্যাণ তো দূরের কথা, উল্টো শ্রমিকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে শোষণ ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনবিহীন নেতৃত্ব দখল করেছে তারা কয়েকজন।
এমনকি তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মেট্রো আরটিসির অনুমোদিত ১৭নং অটো টেম্পো রুটে চালকদের পরিচয়পত্র বাবদ ১০ হাজার টাকা কর্মকালীন সময়ে নতুন ব্রিজ, কোতোয়ালী মোড়, জি.পি.ওসহ বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক ১২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। সেখানে পারমিটবিহীন অটোটেম্পো ভর্তি ফি ৪০ হাজার টাকা এবং অনুমোদিত অটোটেম্পো ভর্তি ফি ১০-১৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে আদায় করেন। একইভাবে প্রতিমাসে চালকদের কাছ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন এ দুইজন।
এ-সব বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগ দক্ষিণ এর ডিসি মাহবুব আলম খান বলেন, অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। পুলিশের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।