চট্টগ্রাম দামপাড়া ওয়াসা ভবনে ১৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজ। এ সময় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর পদত্যাগ দাবি করা হয়। ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে নিজ উদ্যোগে পদত্যাগ না করলে হেনস্তার শিকার হতে হবে বলেও এমডিকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি কার্যালয়ে এ বিক্ষোভ করেন তারা। একই সঙ্গে পদত্যাগের পাশাপাশি ১৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেন সংগঠনটির নেতারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে টানা ছয় দফায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে চট্টগ্রাম ওয়াসার গুরুত্বপূর্ণ পদটি দখলে রেখেছেন প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। ওয়াসার প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব অপরাধের কারণে তাকে এমডি পদ থেকে পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজ। ওয়াসার এমডিকে অতিসত্বর পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ওয়াসা ভবনে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘স্বৈরশাসক খুনি হাসিনা সরকারের খুব আপনজনদের একজন আপনি। সুতরাং আমরা চাই স্বৈরশাসকের অনুসারীরা এ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে না। তাই অতিসত্বর চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি থেকে পদত্যাগ করুন। স্বৈরশাসকের কোনো দোসরকে এ পদে রাখব না।’
এখন আপনি কী করবেন বলেন? উত্তরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো স্বৈরশাসকের দোসর না। তাদের কারও সঙ্গে আমার যোগাযোগও ছিল না।’
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আপনার ১৬ বছর ধরে এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কে দিয়েছে, জানতে চাইলে একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছে।’ তখন আবারও তারা স্বৈরশাসকের দোসর বলে স্লোগান দিতে থাকে- ‘দফা এক, দাবি এক, এমডির পদত্যাগ।’