গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে আটক ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর, রোববার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরাইল। তেল আবিব, জেরুজালেমসহ অন্যান্য শহরে সমাবেশ করেছে হাজারো মানুষ। বাকি ১০১ জিম্মির মুক্তিতে চুক্তির দাবিতে সোমবার ইসরাইলজুড়ে ধর্মঘট ডেকেছে ইসরাইলি শ্রমিক ইউনিয়ন হিস্টাড্রুট।
হামাসের হাতে জিম্মি বাকি ১০১ জিম্মিকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আরও ফলপ্রসু কিছু করবেন বলে দাবি জানিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরাইলি শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই ইসরাইলি পতাকা নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলো। তবে, তেল আবিবে বিক্ষোভরত জনতা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ২৯ জনকে আটক করে।
জেরুজালেমেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করে। এসময় হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে নেতানিয়াহু যথেষ্ট কাজ করেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
এদিকে, এ বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগেই জিম্মি মুক্তিতে চুক্তির দাবি নিয়ে সোমবার দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে প্রধান ইসরাইলি শ্রমিক ইউনিয়ন। ইসরাইলের প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন হিস্টাড্রুটের প্রধান আর্নন বার-ডেভিড স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬টা থেকে এ সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
লাখ লাখ শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা হিস্টাড্রুটের প্রধান সব বেসামরিক শ্রমিকদের ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সকাল ৮টা থেকে ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নও বন্ধ থাকবে।
বার-ডেভিড জানান, আপাতত এই ধর্মঘট কেবল সোমবার পালিত হবে। তবে, তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, সরকার এখনও জিম্মিদের জীবিত ফেরত আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
বর্তমানে প্রায় ১০১ জন জিম্মি এখনও হামাসের হাতে রয়েছেন, যদিও ইসরাইলের ধারণা, তাদের এক-তৃতীয়াংশ জীবিত নেই।
‘আমরা চুক্তির বদলে মরদেহ পাচ্ছি’ উল্লেখ করে ধর্মঘট আহ্বানের সংবাদ সম্মেলনে বার-ডেভিড বলেন, আমাদের একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। এখন চুক্তি সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।