
ডেভিল হান্ট অপারেশনে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত, বিএনপির বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মোঃ মুরাদকে জেল হাজত থেকে বেরকরে আনতে, তোড়জোড় চেষ্টায় মহানগর বিএনপির আরেকটি চক্র।
নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, অসামাজিক র্কাযকলাপ সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার, চান্দগাঁও , বাকলিয়াসহ বিভিন্ন থানায় মামলা ছিলো মুরাদের বিরুদ্ধে। একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মুরাদ। জামিনে বের হয়ে ফের জড়িয়ে পড়ে অপরাধ জগতে। তবে সবশেষ গত ১২মার্চ মধ্যরাতে ডেভিল হান্ট অপারেশনে তাকে আটক করে যৌথ অভিযান ।
তথ্য বলছে, চান্দগাঁও থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক গুলজার হোসেনের অনুসারী মুরাদ। যুবদল নেতা গুলজার মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান গ্রুপ হিসেবে পরিচিত।
তাছাড়াও রাহাত্তারপুল সমাজ কল্যান পরিষদের সভাপতি হারুন সওদাগরের আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিত এই মুরাদ। ফলে তার অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ে মহল্লার কেউ মুখ খোলার সাহস করতো না কেউ।
তবে অভিযোগ উঠেছে, যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত মুরাদকে ছাড়িয়ে নিতে প্রান-পন প্রচেষ্টায়
আছে বিএনপির আরেকটি চক্র। যে চক্রটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এস আলমের কান্ডারী খ্যাত আবু সুফিয়ান ও তার অনুসারীরা, তাদের মধ্যে অন্যতম মহানগর যুবদল নেতা গুলজার, নগর বিএনপির সদস্য – আনোয়ার হোসেন লিপু ও শহর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার লিটন।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহানগর যুবদল নেতা গুলজার কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমরা মুরাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছি, শুধু আমি নই, আবু সুফিয়ান ভাই, লিটন – হারুন ভাই সহ আমরা অনেকেই ঈদ উপলক্ষে দেখা করতে যাই তার পরিবারের সাথে।
মুরাদকে ছাড়িয়ে আনার প্রসঙ্গে আপনারা তার পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেছিলেন সেসময় ?
প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে গুলজার বলেন- আমরা তো আইনের লোক না, উকিল বা ব্যারিস্টার ও নই তাহলে আমারা কিভাবে মুরাদকে ছাড়িয়ে আনবো?
একই বিষয়ে জানতে নেতৃত্বদানকারী আবু সুফিয়ান কে মুঠোফোনে কল করতেই উত্তেজিত হয়ে গণমাধ্যমকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে থাকেন। কোনো উত্তর না দিয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন কলটি বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় মুরাদের মতো অপরাধীরা বারবার ছাড় পেয়ে যাচ্ছে, ফলে থমকে যাচ্ছে ন্যায়ের পথচলা।