
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৩ মে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর, মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিম উদ্দিন হাটহাজারী, মাওলানা আবদুল আউয়াল নারায়নগঞ্জ, মাওলানা মহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদবী পটিয়া, মাওলানা আরশাদ রহমানী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা শিব্বির আহমদ রশিদ, মাওলানা মোবারকুল্লাহ, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মহিউদ্দিন রববানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মুফতি মোহাম্মদ আলী মেখলী, মাওলানা আফজালুর রহমান ফেনী, মাওলানা আলী ওসমান, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন খুলনা, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা আব্দুল হালিম বরিশাল, মাওলানা আব্দুল কাদের, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির,মাওলানা মীর ইদরিস, সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা মুস্তাকুননবী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, অর্থসম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশিরুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মাওলানা হারুন আজিজী নদভী, মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা মুহিববুল্লাহ, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফাইল, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা নুর হোসাইন নূরানী, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী,মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতি এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর,মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা হোসাইন মোহাম্মদ শাহজাহান, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মুফতি আলি আকবর কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা মুফতি শরিফুল্লাহ, মুফতি আব্দুর রহিম কাসিমী, মাওলানা আলী আজম কাসেমী, মাওলানা বুরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা মোহাম্মদ বাবুনগরী, মাওলানা কাজী জাবের তাজাল্লা, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গনি, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা এহসানুল হক।
আরো উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা শরিফুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা মাহমুদ শাহ ধর্মপুরী বাবুনগর, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা মহিউদ্দিন খান, মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, মুফতি মোহাম্মদ ওসমান সাদেক, মুফতি কামরুজ্জামান, মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, মাওলানা ফরিদ আহমদ, মাওলানা বশির, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, মাওলানা এহসানুল হক।
মামুনুল হক ব্রিফিংয়ে বেশ কিছু দাবির কথা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-
১. ফ্যাসিবাদের আমলে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ৫ মে শাপলাসহ সব গণহত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে।
২. বহুত্ববাদের পরিবর্তে সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে।
৩. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশে ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরাধিকার আইন ও পারিবারিক বৈষম্য প্রস্তাব ও কমিশন বাতিল করতে হবে ও কমিশন বাতিল করতে হবে।
৪. ভারতের মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ ও ওয়াকফ আইন বাতিলে ভারত সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
৫. ফিলিস্তিন দখলদারমুক্ত করার জন্য বিশ্বমুসলিম নেতাদেরকে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কর্মসূচি
১. মহাসমাবেশ সফল করতে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সরাদেশে জেলা, থানা ও স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ওলামায়ে কেরাম গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবেন।
২. মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমা সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
৪. আগামী ২৫ এপ্রিল ও ২ মে শুক্রবার সারাদেশের প্রতিটি মসজিদের মিম্বর থেকে কুরআনের বিধানকে কটাক্ষকারী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার অসারতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুসলিম আইন জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে ৩ মে মহাসমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।