
সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও গতকাল অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এরপর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে সাদমান ইসলাম-মাহমুদুল হাসানদের ব্যাটিং শিখিয়েছিলেন দুই রোডেশিয়ান ওপেনার। তাতে কোনো উইকেট হারানো ছাড়াই দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। তবে আজ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে তারা। পাশাপাশি স্পিনাররাও ভালো বোলিং করেছেন। বিশেষ করে মেহেদি হাসান মিরাজ। এই ডানহাতি অফ স্পিনারের ফাইফারে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে থামাতে পেরেছে বাংলাদেশ।
সিলেট টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮০ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ১৯১ রান। ফলে প্রথম ইনিংস শেষে ৮২ রানে এগিয়ে আছে রোডেশিয়ানরা।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই গতির ঝলক দেখালেন নাহিদ রানা। দিনের তৃতীয় ওভারে নাহিদের বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেন কারেন। ফিফটি তুলে নেওয়া বেনেটকেও বেশি সময় ক্রিজে টিকতে দেননি রানা। বেনেটকে বাধ্য করেছিলেন স্কয়ার কাট করার জন্য। আর সেটা ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেল জাকের আলীর কাছে।
খানিক বাদে উইকেটের মিছিলে যোগ দেন হাসান মাহমুদ। দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওয়েলচকে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে দলের হাল ধরেন উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটি। দুজনের ৭৯ বলে ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে বেশ ভালোই প্রতিরোধ গড়ে দলটি। খালেদের বলে ইনসাইড এজড হয়ে ৩৩ বলে ২৪ রানের মাথায় ফেরেন মাধভেরে।
দলের লিড নিশ্চিত হওয়ার পর রান বাড়ানোর দিকেই হয়তো মনোযোগ ছিল শন উইলিয়ামসের। বড় শর্ট খেলতে গিয়েই উল্টো বিপদ বাড়ালেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। ঠিকঠাক ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে পারলেন না। দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারের মারে ৫৯ রান করেছেন উইলিয়ামস।
দুইশর আগেই ৬ উইকেট হারালেও জিম্বাবুয়ের লেজের সারির ব্যাটাররা দারুণ প্রতিরোধ গড়েন। সাতে নেমে নায়াশা মায়াভো ৫৪ বলে করেন ৩৫ রান। নয়ে নেমে রিচার্ড এনগারাভা করেন অপরাজিত ২৮ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ১৭ রান করা ব্লেজিং মুজারাবানি। তাতে বড় লিড পেয়েছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনার একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া ৩ উইকেট পেয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন বাকি দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।