
সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনটিও ব্যাটে-বলে নয়, শুরু হয়েছে বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই দিয়ে। তবে প্রকৃতির বাধা কাটিয়ে যখন খেলা শুরু হলো, তখন টাইগারদের জন্য অপেক্ষা করছিল আরও বড় ঝড়-ব্লেসিং মুজারাবানি নামক এক দুর্দান্ত পেসারের রূপে। বাংলাদেশ থামে ২৫৫ রানে, যা জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করায় ১৭৪ রানের।
তৃতীয় দিনের শেষে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে ভালো অবস্থানে থাকলেও, দিনের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন, ফিরেছেন কোনো রান যোগ না করেই। মুজারাবানির শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিং মিস করে ক্যাচ দেন লং লেগে।
এরপর ব্যাটিং লাইনআপ যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ (১১) এবং তাইজুল ইসলাম (৩) বিদায় নেন দ্রুত। প্রথম ৭ ওভারে হারায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ। দুজনে মিলে ৩৫ রানের কার্যকর জুটি গড়েন। তবে হাসান ১২ রানে আউট হলে আবারও ধস নামে। পরের বলেই ফেরেন খালেদ আহমেদ।
এরপর লোয়ার অর্ডারে লড়াই চালিয়ে যান জাকের আলি। তুলে নেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি, এবং ইনিংসের শেষ দিকে ছক্কা হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক রূপে এগিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুজারাবানির বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে থেমে যান ৫৮ রানে। মুজারাবানি ৬ উইকেট তুলে নেন ২০.২ ওভারে ৭২ রান দিয়ে। একাই ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার অর্ডার।
বাংলাদেশের টার্গেট অতটা বড় না হলেও ইতিহাস তাদের পক্ষে নয়। জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেটে কখনও ১৬২ রানের বেশি তাড়া করে জয় পায়নি। তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয় ছিল ১৯৯৮ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জয়।
এছাড়া শতরানের বেশি রান তাড়ায় মাত্র আর দুটি জয় আছে তাদের। সবমিলিয়ে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জিম্বাবুয়ের জয় মাত্র ৫টি।