
চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন ওয়াসা মোড়ে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ১৬৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম ও অঙ্গহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বাদী সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ একজন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সক্রিয় কর্মী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ওয়াসা মোড়ে সরকার পতনের দাবিতে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকা।
এমদাদ জানান, তিনি হামলাকারীদের অনুরোধ করেছিলেন যেন গুলি না চালানো হয়, তবুও তাকেই লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে তার মাথা, বুক, পা ও ডান চোখে গুলি লাগে এবং তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। পরে তাকে শেভরন আই হসপিটাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং সিএমএইচে ভর্তি করা হয়, তবে চোখের দৃষ্টি আর ফেরেনি।
আসামির তালিকায় আছেন—
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ড. হাছান মাহমুদ, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, নওফেল, মো. আলী আরাফাত, রেজাউল করিম চৌধুরী, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, এবিএম ফজলে করিম, ফারাজ করিমসহ আরও ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
খুলশী থানার ওসি মো. আফতাব হোসেন বলেন, “মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে দলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, “সরকার পরিবর্তনের পরে এ ধরনের মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হতে পারে।”
বাদীর বর্তমান অবস্থা:
সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। বিশেষ সূত্র জানায়, এখনো তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন এবং চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি।